সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৬৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা সম্পন্ন হওয়ার পর ৩৪২ ধারায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ চলছে।
এর আগে বুধবার (১ডিসেম্বর) ৮ আসামি তাদের বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করেছেন। অপর ৭ আসামির বক্তব্য গ্রহণের জন্য আজ ৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ এবং ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১৫ এর তৎকালীন জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামকে ৫ দিনব্যাপী আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জেরা করেছেন। ১ ডিসেম্বর (বুধবার) দুপুরে এ জেরা শেষ হওয়ার পর সাক্ষ্যদের বক্তব্য আসামিদের শুনানো হয়। ওইদিন ৮ জন আসামি তাদের বক্তব্য শেষ করেছেন। তবে তারা সাফাই সাক্ষী দিবেন না বলে আদালতে জানিয়েছেন। তারা লিখিত আকারে পরীক্ষা দেবেন।
এদিকে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় ওসি প্রদীপসহ এই মামলার ১৫ জন আসামিকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হয়।
গত ২৩ আগস্ট থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমালের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়ে ১ ডিসেম্বর শেষ হয়। যেখানে ৬৫ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।